ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার সেনারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার অন্তত ১০০০ বর্গকিলোমিটার (৩৮৬ বর্গ মাইল) এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কিয়েভের বক্তব্য, ইউক্রেন তার দখলে থাকা রাশিয়ার ১০০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে একটি কৌশলগত বাফার জোন তৈরির জন্য কাজ করছে। এছাড়া ইউক্রেন বলেছে যে তার সেনাবাহিনী দখল করা কুরস্ক অঞ্চল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রাশিয়া ও ইউক্রেনে সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেবে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলিকে ওই এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেবে।
তবে মস্কোর দাবি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন রুশ এলাকা ইউক্রেনের দাবিকৃত পরিমাণের প্রায় অর্ধেক এবং রুশ বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলের পাঁচটি এলাকার গভীরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রবেশ করার প্রচেষ্টা কে ব্যর্থ করে দিয়েছে। রাশিয়ার বেলগোরোড সীমান্ত অঞ্চলে প্রতিদিন ইউক্রেনীয় বাহিনীর বোমাবর্ষণের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ঐ অঞ্চলের গভর্নর।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেছেন, "কিয়েভ রাতারাতি রাশিয়ান অঞ্চল ভোরনেজ, কুরস্ক এবং নিঝনি নভগোরোডে চারটি রাশিয়ান সামরিক বিমানঘাঁটিতে আঘাত করেছে, যেখানে রুশ বাহিনীর জ্বালানী ডিপো ছিল এবং ঘাঁটিতে থাকা বেশকিছু বিমান ও ধ্বংস করেছে। " আর জেলেনস্কি আক্রমণটিকে "সময়োপযোগী" এবং "সঠিক" বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে মস্কো বলেছে যে তারা ১১৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন এবং চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত ও ধ্বংস করেছে। এছাড়া ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলে একটি মেডিকেল ব্যাটালিয়নের গাড়িতে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় দুই চিকিৎসক নিহত এবং তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এছাড়াও ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওডেসায় বন্দর অবকাঠামোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।