দি অ্যাম্বাসাডর নিউজ ডেস্কঃ
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কমর উদ্দিন বাংগী (৪০) নামে এক রিকশাচালক নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী তহমিনা বেগম মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় এ মামলা করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত রিকশাচালক কমর উদ্দিন বাংগী বগুড়া সদরের আকাশতারা গ্রামের বাসিন্দা। গত ৪ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। রিকশাচালক কমর উদ্দিন বাংগী শহরের নবাববাড়ি সড়কে ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন। এ সময় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের নির্দেশে অন্য আসামিরা তাকে হত্যা করে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রিকশাচালক কমর উদ্দিন বাংগীকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। এজাহারে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় সেলিম হোসেন (৪০) নামে এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা সেকেন্দার আলী গত ১৫ আগস্ট রাতে সদর থানায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতা। এ মামলায় পুলিশ আবদুল লতিফ নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে রিকশাচালক কমর উদ্দিন বাংগী পুলিশের হামলায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া শহরের সাতমাথায় ডাকবাংলোর সামনে আন্দোলনকারীরা পুলিশ ভেবে শিক্ষক সেলিম হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করে। আর এর দায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যদের ওপর চাপানো হচ্ছে। তবে সুষ্ঠু তদন্ত হলে ঘাতকরা শনাক্ত হবে।
খবরঃ যুগান্তর