দি অ্যাম্বাসাডর নিউজ ডেস্কঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় গুলিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ কবির খানকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে আব্দুল্লাহ কবিরের স্ত্রী আফসানা আক্তার ওরফে আফসানা ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।
এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবিনা আক্তার তুহিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান কচি, মেসবাউল হক সাচ্চু, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ, ডিআইজি হারুন-অর-রশীদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন, এডিসি ইমতিয়াজ মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাব্বির, কাফরুল থানার ওসি মো. শামিম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুর দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর আইডিয়াল স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতাকে সাহায্য করতে যান আব্দুল্লাহ কবির। আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ, র্যাব, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিতে আব্দুল্লাহ কবির গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। ওই সময় তিনি নিজেই গুলিবিদ্ধ হন।
প্রথমে তাকে মিরপুর-১৪ নম্বরে মাক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে লাশের ভিড় ও আহত রোগীদের ভিড়ে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবরঃ বাংলা ট্রিবিউন