অক্টোবরে ঘরের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। তবে সরকার পতন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এখন আড়ালে। দেশের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। যার কারণে বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্ট হাতছাড়া করতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আইসিসি। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাংলাদেশ থেকে নারী বিশ্বকাপ সরিয়ে নিতে পারে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
যেখানে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় আইসিসি রেখেছে বলেও খবর দিয়েছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে বিসিবি।
এদিকে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর শুক্রবার ৯ আগস্ট অন্তবর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার দায়িত্ব পান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছেন আসিফ। সেখানে তিনি ‘নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ’ নিয়ে শুনিয়েছেন আশার বাণী।
সাক্ষাতকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে। আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার আছেন সঙ্গে। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারেই বসব।
তিনি বলেন, আমি সচিবদের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কদিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
গত মে মাসে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ও সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে আয়োজক স্বাগতিক বাংলাদেশ আছে ‘বি’ গ্রুপ। ১০ দলের টুর্নামেন্ট শুরু হবে ৩ অক্টোবর এবং ফাইনাল ২৩ অক্টোবর। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পুরো বিশ্বকাপ।
সূত্র: সমকাল