হামাস নেতা ইসমায়িল হানিয়া হত্যাকান্ডের প্রতিশোধের ইস্যুতে গত ৭ই আগস্ট, মঙ্গলবার সৌদি আরবে হয়ে যাওয়া ওআইসির বৈঠককে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি আরব সূত্র জানিয়েছে যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ বাড়লে পাকিস্তান ইরানকে শাহিন-৩ মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে।
শাহীন-৩ ব্যালিস্টিক মিসাইল |
মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে সীমান্ত দিয়ে এই মিসাইল ইতিমধ্যে ইরানে পৌছেছে বলে দাবি করেছে সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যম ArabNews ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম News18, যদিও পাকিস্তান বিষয়টি অস্বীকার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যেন সম্পর্কের অবনতি না হয় সেজন্য পাকিস্তান বিষয়টি অস্বীকার করছে বলে এই সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে।
শাহীন-৩ ব্যালিস্টিক মিসাইলের রেঞ্জ ২৭৫০ কি.মি. , এটি সর্বোচ্চ ৫০ কিলোটন টিএনটি বা ২১০ টেরাজুল সমপরিমাণ পরমাণু বিস্ফোরণ বহন করতে পারে। উল্লেখ্য ১৯৪৫ সালে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপিত ফ্যাটম্যান পরমাণু বোমার বিস্ফোরণটি 21 কিলোটন টিএনটি বা 88 টেরাজুলের বিস্ফোরণের সমতুল্য শক্তির।
উল্লেখ্য ইরানের সাবেক রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির সময়কালে ইরান ও পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। ইব্রাহিম রাইসি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির আমন্ত্রণে গত ২২ এপ্রিল তিন দিনের জন্য পাকিস্তান সফরে এসেছিল, এটি আট বছরের মধ্যে প্রথম কোনো ইরানি শীর্ষস্থানীয় নেতার পাকিস্তান সফর ছিল। এই সফরে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্থনৈতিক চুক্তিও সাক্ষরিত হয়েছিল।
সূত্র: ArabNews, News18, The Jerusalem Post.