![]() |
প্রতীকী ছবি |
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম এক্স। অবিলম্বে’ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
ব্রাজিলের অন্যতম শীর্ষ বিচারকের সঙ্গে ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমটির অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে আইনি লড়াইয়ের পর এক্স (সাবেক টুইটার) কর্তৃপক্ষ
এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর আল জাজিরার
শনিবার এক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্রাজিলে কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত
‘অবিলম্বে’ কার্যকর করা হবে। তবে এ ঘোষণা দেওয়ার পরও দেশটিতে ব্যবহারকারীরা এক্সে প্রবেশ
করতে পারছিলেন।
কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘আমরা গভীরভাবে
দুঃখিত যে আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এর দায় শুধু ব্রাজিলের সুপ্রিম
কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েসের ওপর বর্তায়।
ব্রাজিলে এক্সের মালিক ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে বিচারক আলেকজান্দ্রের
চলা দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত পরিণতি কার্যক্রম বন্ধের এ ঘোষণা। বিচারক আলেকজান্দ্রের
ভাষ্য, অনলাইনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের চেষ্টা করছেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুতে বেশকিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে এক্সকে নির্দেশ
দেন বিচারক আলেকজান্দ্রে। অভিযোগ ছিল, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা সংবাদ ও ঘৃণামূলক
বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল। এর মধ্যে কিছু অ্যাকাউন্ট ব্রাজিলের সাবেক উগ্র ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট
জইর বলসোনারোর সমর্থকদের ছিল।
২০২২ সালের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে হেরে যান বলসোনারো।
এরপর বলসোনারো ব্রাজিলের নির্বাচনব্যবস্থায় ত্রুটি থাকার অভিযোগ তোলেন। বিশেষ করে বারাবার
ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে জালিয়াতির ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করেন।
বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে নির্বাচনে
পরাজয় মানতে পারেননি জইর বলসোনারো। কয়েক মাসের মধ্যে বলসোনারোর সমর্থকেরা ফুঁসে ওঠেন।
তাঁরা কংগ্রেস ভবন, সুপ্রিম কোর্টসহ ব্রাজিলের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভাঙচুর চালান।
এ বিষয়ে ব্রাজিলের সুপিরিয়র ইলেকটোরাল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি
বিচারক আলেকজান্দ্রে বলেছিলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে আগ্রাসনের স্বাধীনতা নয়।
স্বৈরশাসনকে রক্ষার স্বাধীনতা নয়।’
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে যাতে ভুয়া সংবাদ ও বিভ্রান্তি না
ছড়ায়, তা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয় এই বিচারক ও এক্স কর্তৃপক্ষের।
সূত্রঃআল জাজিরা,সমকাল