ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হবে বেসরকারি খাতের এই ব্যাংকটিকে। পর্ষদ ভাঙার পাশাপাশি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন পর্ষদও গঠন করে দেওয়া হবে। আপাতত স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে পর্ষদ গঠন করা হবে। ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে এস আলম গ্রুপের বাইরে যাদের কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার থাকবে তাদের মধ্যে থেকে নতুন পরিচালক নিয়োগ করে ব্যাংকটির স্থায়ী পর্ষদ গঠন করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকটিকে এস আলম গ্রুপের কব্জামুক্ত করা হবে।
ইসলামী ব্যাংকে নামে-বেনামে ২৪ প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩১ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১৬৫টি শেয়ারের মালিকানা নিয়েছে এস আলম গ্রুপ, যা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের ৮১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
ব্যাংকটির মালিকানা নেওয়ার পর এস আলম গ্রুপ নজিরবিহীন লুটপাট শুরু করে। এখন পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবে গ্রুপের নিজস্ব কোম্পানির নামে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেনামি কোম্পানির নামে নিয়েছে আরও প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এসব মিলে এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার তথ্য মিলেছে। গ্রুপটির বেনামে আরও ঋণ নেওয়ার তথ্য রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব অর্থের বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়েছে।
ইতোমধ্যে এসব শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংকটি থেকে ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এলসি খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেননি তাদের ছাড়া হবে না।
সূত্র: যুগান্তর।