ছবিঃইন্টারনেট |
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা পদত্যাগ পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে এক অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বিভাগে।
বাংলাদেশ পুলিশের কর্মবিরতি ও ১১ দফার পর শোরগোল শুরু হয়েছে কারারক্ষীদের মাঝেও ইতিমধ্যে পিরোজপুর কারাগারের জেল সুপারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে উক্ত জেলখানার সকল কারারক্ষী। জেলখানার অভ্যন্তরে অনিয়ম, দুর্নীতির ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেনে সাধারণ কারারক্ষীগন। উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিনের অনিয়ম, দূর্নীতি এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করাকে দায়ী করছেন তারা।
বিদ্রোহী কারারক্ষীদের অন্যতম দাবী, ২০০৯ সালে কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কারাবন্দিদের জন্য ‘হালকা ও বেকারিজাতীয় খাবার’ পরিবেশনের অনুমতি নেয়। সেই অনুমতির সূত্র ধরে কিছু কারা কর্মকর্তা বছরের পর বছর আসামিদের কাছে অতিরিক্ত দামে মাছ-মাংসসহ উন্নতমানের খাবার বিক্রি করে আসছেন। কারা কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালে হালকা খাবারের অনুমতি নেওয়ার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছিল, ক্যান্টিনের আয় থেকে অর্ধেক ব্যয় হবে কারাবন্দিদের কল্যাণে। বাকিটা কারারক্ষীদের কল্যাণে।তাদের দাবী ক্যান্টিনের পুরো অর্থই কারাগারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের মাঝে ভাগ বন্টন হয়ে যায়,তাদের কল্যানের জন্য কোনো বরাদ্দ থাকে না।
পদোন্নতির পরও বেতন বৃদ্ধি না পাওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে চরম অসন্তোষ। জানা যায় সার্জেন্ট থেকে কারারক্ষী পদসমূহের কারোও পদোন্নতির পরও বেতন বৃদ্ধি পায় না। এই বেতন বৈষম্যের জন্য কর্মকর্তাদের সাথে কর্মচারীদের মাঝে নেই সমন্বয়। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কারাগারের কারারক্ষীদের আশঙ্কা যেকোনো সময় হতে পারে কারাবিদ্রোহ।
সূত্রঃযুগান্তর,নয়া দিগন্ত