The Ambassador News                                       দি অ্যাম্ব্যাসাডর নিউজ

সকল কণ্ঠের প্রতিনিধি

সর্বাধিক পঠিত

এবার প্রকাশ্যে এলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি

 সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রকাশ্যে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রশিবির শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে এবার সামনে এলো শিবিরের ঢাবি শাখার সেক্রেটারি জেনারেলের পরিচয়। ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থীর নাম এস এম ফরহাদ। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্‌দীন হলে। ফরহাদ ছাত্রলীগেরও পদধারী ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে।



রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেসবুকে এস এম ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসে। সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীল এক নেতার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোতে এস এম ফরহাদের শিবিরের পদের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এর আগে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার পর ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েমের পরিচয় সামনে আসে। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সাদিক ও ফরহাদ দুজনই চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

ফরহাদ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে কবি জসীমউদ্‌দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে ফরহাদের ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসার পর আরেকটি পরিচয়ও সামনে চলে আসে। তিনি ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলেও তথ্য ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া, কবি জসীমউদ্‌দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের একটি ইফতার অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজীর সঙ্গে ফরহাদের একটি ছবি এবং তানভীর হাসানকে ফরহাদের ফুল দেওয়ার আরেকটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

তবে, এসব নিয়ে আলোচনার পর ছাত্রলীগের একটি কমিটিতে একসময় পদ থাকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এস এম ফরহাদ। তিনি দাবি করেছেন, ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই।

সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন ফরহাদ

বিবৃতিতে ফরহাদ বলেন, “সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের কোনো পদ-পদবির জন্য কোনো সিভি (জীবনবৃত্তান্ত) আমি কখনো কাউকে দিইনি। বিভাগ-ইনস্টিটিউটের কমিটিতে কাকে রাখা হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে, যেখানে আমি ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই।”

ফরহাদ আরও বলেন, বিষয়টিকে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের চেতনা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন।

ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ছবির বিষয়ে বিবৃতিতে ফরহাদ বলেন, “আমি হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় বিতর্কের বিভিন্ন আয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, যার সব কটিই ছিল ডিবেটিং ক্লাবসংশ্লিষ্ট আয়োজন, কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নয়।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমও বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, “ফরহাদ ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ছাত্রলীগের পদের জন্য কখনো কারও কাছে সিভি জমা দেননি। তবু কেন তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে, তা আমরা জানি না।”

সাদিক জানান, ২০১৮ সালে প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ফরহাদকে তারা হল থেকে বের করে দিয়েছিল।

খবরঃবাংলা ট্রিবিউন

নবীনতর পূর্বতন