বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সচিব জানান, "আজ চীনের রাষ্ট্রদূত আমাদের যেটি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিনো-আফ্রিকান যে শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে সেখানে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশ ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন।"
ছবি: সংগৃহীত। |
২০২০ সালে ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য এই সুবিধা পেতো। ২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়, যার মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল।
জসিম জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যার পরিমাণ আট মিলিয়ন ডলার।
তিনি বলনে, " আমরা আশা করছি চীনে রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে। দেশ থেকে চীনে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে।" তিনি আরও জানান, কাঁঠাল ও পেয়ারার মতো অন্যান্য ফলও রপ্তানি করা হবে।
২০২০ অর্থবছরে চীন দুই দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ০.০৫ শতাংশ। এই তথ্য এটাই নির্দেশ করছে যে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের বিশাল আমদানি বাজারের এক শতাংশও যদি বাংলাদেশ ধরতে পারে তবে তার পরিমাণ হতে পারে ২৫ বিলিয়ন ডলার।
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার।