গত জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষকমন্ডলী ও প্রশাসনের সমর্থন না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের কতিপয় শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে আওয়াজ তোলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷ ধীরে ধীরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে৷ শিক্ষার্থীদের দাবি এই যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের নানাভাবে তাদের আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা চালায়৷ শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানাধরণের মন্তব্য করেন৷ এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে যোগদান করতে থাকেন৷ চাপের মুখে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের আদেশ দেয়৷
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হলগুলোতে ছাত্রলীগের দৌরাত্ম থাকায় প্রশাসন কোনোরকম জোর খাটায়নি৷ কিন্তু মেয়েদের হলগুলোতে প্রভোস্টরা গিয়ে তাদের হল ত্যাগে বাধ্য করে৷ শিক্ষার্থীদের মতে তাদের নানারকম হুমকি দেয়া হয় এবং হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দ্বায়ভার নিতে অস্বীকার করা হয়৷ প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের শহরে পৌছে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বাসের ব্যবস্থা করে৷ তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপদে শহর আশ্বাস দেয়৷ তবে, ২১-২২ সেশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সমর্পিতা গাইনের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রশাসন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় গেট পর্যন্তও নিরাপত্তা দেয়নি৷ গেটে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা ওঠার পরই ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের মস্তানেরা বাসে উঠে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়৷ এতে নারী শিক্ষার্থীরা খুবই আতংকিত হয়৷
এসবের জের ধরেই শুরু প্রশাসনের পদত্যাগের দাবি৷ একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেন৷ সেই থেকে এখনও পর্যন্ত ভিসি বা প্রসাশনের কোনো সদস্য নিয়োগের কোনো খবর পাওয়া যায় নি৷ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী কমিটি গঠন করে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে৷ ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের শিডিউল অনুযায়ী শাটল ট্রেন চালুর আদেশে গত ১৮ ই আগস্ট হতে শাটলে ট্রেন চলমান রয়েছে৷