The Ambassador News                                       দি অ্যাম্ব্যাসাডর নিউজ

সকল কণ্ঠের প্রতিনিধি

সর্বাধিক পঠিত

ফেনীতে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলা, আহত ৩০



ফেনীর দাগনভূঞায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর জসনে জুলুসের প্রস্তুতি মিছিলে হামলা করেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে দাগনভূঞা হযরত মাইজ্জা হুজুর (রহ.) এর মাজার শরীফ ও কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 


খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমাও মাইজ্জা হুজুরের মাজার শরীফে ছুটে আসেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। 


দাগনভূঞায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন কমিটির নেতা আবু নাসের ও অলি আহমদ জানান, মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হযরত মাইজ্জা হুজুর রহ. এর মাজার শরীফ থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হওয়ার কথা ছিল। মিছিলে যোগদানের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আসার পথে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। এসময় বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। 


হামলায় আহতরা হলো- মাওলানা কমর উদ্দিন তারেক, সিদ্দিক, নুর ইসলাম, অলি আহমেদ, ইকবাল, ইব্রাহিম খলিল। হামলায় আতঙ্কে লোকজন দিকবিদিক দৌড়াতে থাকে। পরে মিছিলটি পন্ড হয়ে যায়।


জসনে জুলুস উদযাপন কমিটির নেতা মাওলানা হাসনাইন আহমদ আল কাদেরী ও মাওলানা নুর হোসাইন আল হাসানী সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের সুন্নী নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে এবং অনেকের মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। 


দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াতের আমীর সালাহ উদ্দিন জানান, হঠাৎ করে হামলার ঘটনা ঘটলেও আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করেছি।


এদিকে হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ফেনী জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি আল্লামা এমএ মনসুর মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহি উদ্দিন। তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।


দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাসেল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা মাজার শরীফে নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি। পরিস্থিতির কারণে সুন্নীদের মিছিল বন্ধ রাখা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

নবীনতর পূর্বতন