ছবিঃ দি অ্যাম্ব্যাসাডর নিউজ |
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। স্বৈরাচার সরকার উৎখাতে নিজেদের অবদান স্মরণ করেন তারা। এরপর দুপুর ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল উপাচার্যের প্রতিনিধির কাছে স্মারকলিপি দেন। উপাচার্যের প্রতিনিধিও এই দাবিকে 'যৌক্তিক' বলেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়েও একাধিকবার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ আছে। সেখানে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। বাংলাদেশেও স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যগুলোয় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের সাবেক এইচএসসি শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনকারী ছাব্বির হোসেন সজীব বলেন, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিল করা হয়। অতি আবেগ এবং সস্তা যুক্তি ছাড়া ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা বন্ধের কোনো কারণ নেই। যখন সেকেন্ড টাইম চালু ছিল তখন ঢাবি একটা ভালো পজিশনেও ছিল, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সেকেন্ড টাইম সাময়িক বন্ধ করার পর আবার চালু করা হয়েছে, তাহলে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাবিতে কেন সেই সুযোগ থাকবে না!
দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী নেয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা আসন পূরণে ক্রেডিট ট্রান্সফার পদ্ধতি চালুর প্রস্তাবসহ দ্রুত তাদের এই ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য, আগে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রশ্নফাঁস বন্ধ, সুযোগের অসমতা ইত্যাদি কারণে এই সুযোগ বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীসময়ে এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক আদালতে রিট করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নি। বিগত বছর গুলোতেও এই দাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলে আসছে।