শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, শেখ হাসিনা
সরকারের পতনের পর বাংলাদেশকে দ্রুত স্থিতিশীলতা অর্জন করতে হবে এবং জনগণকেই সিদ্ধান্ত
নিতে হবে কীভাবে দেশ পরিচালিত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার
চেষ্টা করছে, তখন শেখ হাসিনার উচিত হবে ভারতেই অবস্থান করা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্ট পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রনিল বিক্রমাসিংহে
এ কথা বলেন। তাঁর কাছে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে
জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘যতটুকু জানি, শেখ হাসিনা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। তবে অনেক নেতা
তাঁদের দেশ ছেড়ে বিদেশে থাকছেন। যদি তিনি দেশের বাইরে থাকতে চান, তবে তাঁকে দেশের বাইরে
থাকতে দিন। আমরা সবাই চাই যে, বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করুক।’
প্রতিবেশী দেশগুলোর জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে
অস্থিরতার এই সময় কাটিয়ে ওঠার জন্য নয়াদিল্লি ও ঢাকাকে পরামর্শ দিয়ে বিক্রমাসিংহে বলেন,
উভয় পক্ষকে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া
উচিত।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রথমে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা
আনতে হবে, জনগণকে আস্থায় আনতে হবে। তবে শেখ হাসিনার বিষয়টি রাজনৈতিক বিষয়, সেভাবেই
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেক নেতা দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান, এরপর তারা বিদেশে
থাকেন। আমি যে বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেব তা হলো, এ বিষয়টি নিশ্চিত করা যে, বাংলাদেশ
স্থিতিশীল থাকবে।’
এর আগে গত আগস্টের প্রথম দিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ
হাসিনা পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি ভারতেই বসবাস করছেন।
তবে ভারতে তাঁর অবস্থানের বিষয়টি দেশটির সরকার ও বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী
সরকারের মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।