৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷
সভায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের একজন প্রশ্ন করেন, "৫ তারিখ কিসের ভিত্তিতে আগের সমন্বয়ক কমিটি বাদ দেওয়া হলো ও সহ সমন্বয়কদের না জানিয়ে আবার ৫ তারিখ (স্বাধীনতার পর) ইব্রাহিম রনিকে সমন্বয়কে নতুন করে এড করার কারনটা জানতে চাওয়া হলো??" এর উত্তরে সমন্বয়কদের পক্ষ নিয়ে সাখাওয়াত হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, "সমন্বয়কদের নিচু করা যাবে না, আজকে যারা গল্পের নাম দিয়ে, আন্দোলনে অংশগ্রহণের নামে আস্কাচ্ছেন তারা শেখ হাসিনার দোসর!!" এই উক্তি করার পরপরই কিছু শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করেন এবং একটি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়৷ পরে শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন৷
সাখাওয়াত হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী৷ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের ডাক দেয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে উনি একজন৷ তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে "শেখ হাসিনার দোসর" কথাটি "রাজাকারের নাতি" কথাটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ৷ সমন্বয়কদের সমালোচনা করায় এভাবে ট্যাগ লাগিয়ে দেয়ায় তারা বিক্ষুব্ধ হন৷
বেশ কিছুদিন ধরেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজগুলোতে সমন্বয়কদের কর্মকান্ডের সমালোচনা হচ্ছে৷ শিক্ষার্থীদের দাবি সমন্বয়কদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে তাদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে দেয়া হয়৷ শিক্ষার্থীদের একাংশের মতে, বর্তমানে সমন্বয়কদের প্রয়োজন নেই৷ তাদের উচিত সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় বরণ করা এবং রাষ্ট্র সংস্কার এ অংশগ্রহণ করা৷
উক্ত সভায় হাসনাত আবদুল্লাহর বলেন, " চবি ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি চাই না৷ তিনি আরো বলেন"আমাদের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করতে হবে, এটা চাই না। আমরা চাই দ্বিমত প্রকাশ অব্যাহত থাকুক। দ্বিমত প্রকাশের মধ্য দিয়েই আমরা সমাধানে পৌঁছাতে পারব। অন্যথায় সম্ভব না।" প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, "দলবাজ ছাত্র-শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না।"