ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলু্সে অস্ত্রসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। জঙ্গি কায়দায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের কদমতলীর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কসবা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহমেদ।
প্রত্যক্ষশদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শীরা কসবা উপজেলা চত্বর থেকে জশনে জুলুসের শোভাযাত্রার আয়োজন করে। অপরদিকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদস্য গাজী ইয়াকুব ওসমানীর নির্দেশনায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা প্রতিরোধের ঘোষণা দেন।
কওমীর শিক্ষার্থীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে কসবাবাসীকে বাইরে বের হয়ে তথাকথিত 'বেদাতি'দের (মিলাদুন্নবী পালনকারীদের) প্রতিরোধ করার আহ্বান জানায়। ফলে কদমতলী এলাকায় (সদর হাসপাতাল মোড়ে) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং কওমিপন্থিদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তপ্ত হয়ে উঠে কসবা পৌর শহর। এক পর্যায়ে মিছিলকারীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করা হয়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন বলে জানা গেছে। মিলাদুন্নবী পালনকারী কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
মিছিলে অংশ নেয়া এক ব্যক্তি বলেন, মিলাদুন্নবীর মিছিলে এধরনের হামলা নজিরবিহীন এবং ন্যাক্কারজনক। হামলায় বৃদ্ধ মুরব্বিসহ অনেকেই মারাত্মক আহত হয়েছেন। আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, রামদা দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়, পরবর্তীসময়ে সুন্নী মতাদর্শের মাদ্রাসায় হামলা করে লুটপাটও করা হয়। ওরা সংখ্যায় কম থাকলেও অস্ত্র থাকায় কোনো প্রতিরোধ করা যায় নি।
এ ঘটনায় ৫ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ একসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান ওসি রাজু আহমেদ।