The Ambassador News                                       দি অ্যাম্ব্যাসাডর নিউজ

সকল কণ্ঠের প্রতিনিধি

২০ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে জয় সান ম্যারিনোর

স্পোর্টস প্রতিনিধি, মোস্তফা খালিদ বিন শামসঃ

একটা জয়ের অপেক্ষা কত দীর্ঘ হতে পারে, কতটা আরাধ্য হতে পারে, সান মারিনোর সমর্থকদের চেয়ে বোধহয় সেটা কেউ ভালো বলতে পারবে না। এর আগে দেশটির ফুটবল ইতিহাসে জয় ছিল মাত্র একটা। সেটাও এসেছিল ২০ বছর ৮ মাস ৪ দিন আগে।


ছবিঃ সংগৃহীত


২০০৪ সালের এপ্রিলে প্রীতি ম্যাচে লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র জয়টি পেয়েছিল ইতালির ভেতরের ছোট্ট দেশটি। সেখান থেকে অপেক্ষার শুরু। দিন পেরিয়ে মাস, মাস পেরিয়ে বছর, এভাবেই দুই যুগের অবসান। এর মধ্যে দেশটি খেলে ফেলেছে ১৪০ ম্যাচ। কিন্তু ফলাফল একই। কখনোই জয়ের স্বাদ পায়নি সান মারিনো। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়েও এর প্রভাব পড়েছে। অবনমন হতে হতে র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার নিচে (২১০) চলে গেছে দেশটি।


অবশেষে ৩৩ হাজার জনসংখ্যার দেশটির দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হয়েছে। গতকাল নেশনস লিগের সবচেয়ে তলানির ধাপ ‘ডি’ লিগের ম্যাচে সেই  লিখটেনস্টাইনকেই ১-০ গোলে হারিয়েছে সানমারিনো। যা দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় জয়। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে এটাই সান মারিনোর প্রথম জয়।

অবশ্য লিখটেনস্টাইনও যে খুব শক্তিশালী দল, এমন নয়। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৯৯তম স্থানে আছে দেশটি। পরিসংখ্যান বলছে, গতকালের আগে টানা ৩৯ ম্যাচ ধরে জয়হীন লিখটেনস্টাইনও। দেশটি সর্বশেষ জয় পেয়েছিল ২০২০ সালের অক্টোবরে। গতকাল লিখনস্টাইনের অপেক্ষাটা ৩৯ থেকে ৪০-এ নিয়ে গেল সান মারিনো।


ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে তলানির দল সান মারিনোকে পরম আরাধ্য জয়ের স্বাদ এনে দেওয়া একমাত্র গোলটি করেছেন ১৯ বছর বয়সী ফুটবলার নিকো সেন্সোলি। এর আগে লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে পাওয়া জয়ের সময় জন্মই হয়নি সেন্সোলির।


গতকাল নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় জয় পাওয়ার রাতে ৯০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মজার বিষয়, ২০০৪ সালের এপ্রিলে সান মারিনোর প্রথম জয়ের সময় রোনালদোর পেশাদার ক্যারিয়ারে গোল ছিল মাত্র ৯টি। সান মারিনোর দ্বিতীয় জয়ের মাঝের এ দীর্ঘ সময়ে রোনালদোর ক্যারিয়ারে যোগ হয়েছে আরও ৮৯১টি গোল!


আয়তনে বিশ্বের পঞ্চম ক্ষুদ্রতম দেশ (৬১ বর্গ কিলোমিটার) সান মারিনোর গতকালের ম্যাচটি যে স্টেডিয়ামে হয়েছে, সেটার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ছয় হাজারের মতো। ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা সান মারিনোর এ ম্যাচটা দেখতে তেমন দর্শকও হাজির হয়নি গ্যালারিতে। কিন্তু কে জানতো, এ ম্যাচেই ইতিহাস লিখবে তাদের দল।


অবশ্য ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল লিখটেনস্টাইন। কিন্তু সে গোলটি বাতিল হয় অফসাইডে। পরে ৫৩ মিনিটে সান মারিনোর হয়ে জয়সূচক গোলটি করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান সেন্সোলি।


এ গোলে সান মারিনোর সামগ্রিক ফুটবল রেকর্ড দাঁড়ালো: ২ জয়, ১০ ড্র, হার ১৯৯।

নবীনতর পূর্বতন