লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানল বৃহস্পতিবারও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তবে ঝোড়ো বাতাসের গতি কমে আসায় অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা দাবানল ছড়িয়ে পড়ার গতিও কিছুটা কমাতে পেরেছেন। এর আগের দুই দিনে ঝোড়ো বাতাসের কারণে প্রচণ্ড বেগে দাবানল ছড়িয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের পশ্চিমাঞ্চলে স্যান্টা মনিকা ও মালিবুর মধ্যবর্তী প্যালিসেইডস এলাকা এবং পূর্বে পাসাডেনার কাছে ইটন এলাকার দাবানলকে ইতিমধ্যে শহরটির ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বলে মনে করা হচ্ছে। দাবানলে ইতিমধ্যে সেখানকার প্রায় ৩১ হাজার একর এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দাবানলের কারণে শুধু ইটন এলাকাতেই চার–পাঁচ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্মকর্তাদের বরাতে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যালিসেইডসের দাবানলে আরও ৫ হাজার ৩০০ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
ছবি: লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়েস্ট হিলস বিভাগে কেনেথ ফায়ারে হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ফেলা হয়। (ইথান সোপ/দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস) |
এরই মধ্যে শহরে লুটপাট শুরু করেছে কিছু লুটেরা। ইতিমধ্যে ২০ জন লুটের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ক্রুরা লস অ্যাঞ্জেলেসে মারাত্মক দাবানলের বিরুদ্ধে দিনব্যাপী যুদ্ধে কিছু অগ্রগতির কথা জানিয়েছে, তবে ইতিমধ্যে ১৮০,০০০ এরও বেশি বাসিন্দাকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্টনি ম্যারন বলেছেন, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসার পর মানুষের দেহাবশেষ শনাক্তকারী দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাবে।
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা একিউওয়েদারের হিসাব অনুসারে, দাবানলে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার থেকে ১৫ হাজার কোটি ডলারের মতো আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো, বিবিসি।