বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট খেলাপি ঋণের ৭২ শতাংশই আটকে আছে ১১টি শিল্প গ্রুপের কাছে।
যার মধ্যে কিছু ঋণের টাকা পাচার হওয়ায় আদায় অযোগ্য ঋণে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের নামে-বেনামে নেয়া ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে এখন পর্যন্ত মূলঋণ ও সুদসহ খেলাপি ঋণ হিসেবে ৫৩ হাজার কোটি টাকা শনাক্ত করা হয়েছে।
এস আলম গ্রুপের মোট ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ২৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ টাকা ৫০ হাজার টাকাই খেলাপি হয়ে গেছে।
সিকদার গ্রুপের নামে-বেনামে ৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার ঋণে এখন পর্যন্ত গ্রুপটির খেলাপি ঋণ ২ হাজার ৯০ কোটি টাকা।
নাবিল গ্রুপের মোট সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণের তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। এসব ঋণের বড় অংশেই জালিয়াতি হয়েছে।
নাসা গ্রুপের মোট ২১ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে খেলাপি ১১ হাজার কোটি টাকা।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আরামিট গ্রুপ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ঋণের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে।
এছাড়া, জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ কেলেংকারির মাধ্যমে এননটেক্স গ্রুপের নেয়া ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা এবং ক্রিসেন্ট লেদারের নেয়া ৫ হাজার কোটি টাকার বড় অংশই এখন খেলাপি।
হলমার্ক গ্রুপের জালিয়াতি করে নেয়া ঋণের ৯ হাজার কোটি টাকার বড় অংশই এখন খেলাপি। জনতা ব্যাংক থেকে রতনপুর গ্রুপের নেয়া প্রায় দেড় হাজার কোটি ঋণের পুরোটাই খেলাপি হয়ে পড়েছে।
সূত্র: BBC News